-সাকি:
আমাদের কাশীপুরের মানুষ ছিলেন তিনি।আপাদমস্তক একজন গোবেচারা স্বভাবের মানুষ।
আস্তে কথা বলতেন।
তাঁর প্রতি অভিযোগের আঙ্গুল তুলে কথা বলবে, এমন মানুষের সংখ্যা আছে কি?
সাইকেলে ঘুরে বেড়াতেন নেতা।
অনেকদিন আগে মোগলহাট গেটে রেলগাড়ীর সাথে তাঁর সাইকেল ও নিজেও আটকে যান।
প্রচুর ইনজুরি হয় তাঁর।
বেঁচে গিয়েছিলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
সেই মানুষটা চলে গেলো। একবিংশ শতাব্দীর ধাপ্পাবাজির রাজনীতি থেকে, অনেক দুরে চলে গিয়ে বেঁচে গেলেন এনামুল হক মন্ডল।
এমন অসম বাণিজ্যে দুষ্ট বাংলাদেশের পঙ্কিল রাজনীতিতে, তিনি স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতেন।
স্বপ্ন দেখতেন সমাজবদলের।
হয়তো হয়তো কোনদিন সমাজ বদল হতেও পারে, তখন এনামুল হক মন্ডলের কবরে যেয়ে এক গোছা রজনীগন্ধার ফুল দিয়ে কি বলতে পারবো,
এনামুল ওঠো।
তোমার স্বপ্নের স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
অনেক কাজ অনিসপন্ন ছিলো, এবার শেষ করো।
তোমার মতো নিবেদিত প্রাণ, আবদুল কুদ্দুস স্যার,
মনিরুজ্জামান স্যার, নুরুজ্জামান স্যার, এমন অসংখ্য মানুষের মিছিলে আবার তোমাকে দেখতে চাই।
অবরূদ্ধ বাংলাদেশে তোমাকে স্বাধীন বাংলা আর কবে দেখাতে পারবো। কালের পরিক্রমায় আজ আবার জাতি পরে গেছে অন্ধকার কানাগলিতে।
তোমার মতো সাহসী উচ্চারনের মানুষ চোখে পরে না এনামুল।
২/৮/২০২০
টিনটন ফলস্, নিউজার্সি, আমেরিকা।